Publish: Tuesday December 14, 2021 | 5:39 am | অনলাইন সংস্করণ
দুই সহোদরকে ‘ক্লার্ক ও পিয়ন’ পদে চাকরি দেওয়া কথা বলে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক রিফাত হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর রমনা থানায় ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় শহীদুলের ভাই, রফিকুল, বরিশালের মো. সাদ্দাম হোসেন ও দুদকের দুই নিরাপত্তারক্ষী মুখলেছুর রহমান ও মো. মুকুল মিয়াকে উপস্থিত সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বরিশালের উজিরপুরের দুই সহোদর শহীদুল ইসলাম (২১) ও মো. রফিকুল ইসলাম (১৭)। প্রতারক রিফাত হাসান (৪৬) দুদকের ক্লার্ক ও পিয়ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই দুজনের কাছ থেকে বিকাশ নম্বরে মোট ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
এরপর সোমবার সকাল ১০টার দিকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আরও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন। দুই সহোদর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ওই প্রতারককে কল করে আসতে বলেন।
এরইমধ্যে দুই সহোদর দুদক কার্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে প্রতারকের পরিচয় জানতে চান। তারা ওই দুই সহোদরকে বলেন, ওই নামে (রিফাত হাসান) দুদকে কোনো কর্মকর্তা নেই। ওই সময় দুই সহোদর দুদকের নিরাপত্তা কর্মীদের ঘটনাটি খুলে বলেন।
এরপর রিফাত হাসান দুই সহোদরকে কল করে শিল্পকলা একাডেমীর গেটের সামনে আসতে বলেন। দুই সহোদরের সঙ্গে দুদকের নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে যান। নিরাপত্তা কর্মীরা রিফাতের কাছে তার পরিচয় জানতে চান। ওই সময় রিফাত নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিতে ব্যর্থ হন।
এসময় দুদকের নিরাপত্তারক্ষীদের সহায়তায় প্রতারক রিফাতকে আটক করা হয়। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
রিফাতের কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। এগুলো হলো- দুটি ব্যাংক ডিপোজিট ভাউচার, জাতীয় পরিচয়পত্র, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়), দুর্নীতি দমন কমিশন ১১৪/এ সেগুনবাগিচা, ঢাকা অনুমোদন পত্র’ লেখা সম্বলিত সাতটি কপি, ম্যানেজার (মানবসম্পদ) লেখা ১০ পাতা খালি ফরম, ৬টি সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, একটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড, একটি সিটি ম্যাক্স কার্ড, একটি ড্রিংক ওয়েল (ওয়াসা) কার্ড, একটি নেটেক্স এক্সেসরিস লিমিটেডের আইডি কার্ড, বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ভিজিটিং কার্ড, নগদ ৪৪৫ টাকা ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০টি চাবি।
Array