Publish: Tuesday December 14, 2021 | 4:50 am  |  অনলাইন সংস্করণ

 dhepa 

ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রেখে নতুন আইনে সায় দিয়েছে সরকার।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলম্যান্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকে পেমেন্ট ও সেটেলম্যান্ট নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট আইন ছিল না। কিছু বিধি দিয়ে পরিচালিত হতো। তাই ডিজিটাল লেনদেন সুরক্ষায় এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, খসড়া আইনে চেকের মাধ্যমে লেনদেন ও ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তরের বিধান আনা হয়েছে। পেমেন্ট সিস্টেম পরিচালনার ন্যূনতম মূলধন, পর্ষদ গঠন ও ব্যবস্থাপনা, মালিকানা ও পরিচালনা, পরিদর্শন ব্যবস্থাপনা, সেবাদানের নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে।

চেক ও ইলেক্ট্রনিক তহবিল স্থানান্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা ইস্যু সংক্রান্ত বিধানও যুক্ত করা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

খসড়া আইনে কিছু বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে উল্লেখ করে আনোয়ারুল বলেন, কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেওয়া হবে, সেগুলো ৪ এবং ৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। ৪ ধারার বিধান (কেউ) লঙ্ঘন করলে (আদালত) তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে।

খসড়া আইনের ৩৮ নম্বর ধারায় বিভিন্ন রকমের অপরাধের শাস্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের পদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অপসারণের বিধান ৩৯ ধারায় রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য বা দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড হতে পারে। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে ফি আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রিসাইজ করে দেওয়া হয়েছে।

নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট নিয়ে এতোদিন কোনো আইন ছিল না। ১৮৭২ সালের কন্ট্রাক্ট ল এর অধীনে কিছু রেগুলেশন ছিল। এখান দেখা যাচ্ছে যে, ট্রানজেকশন ও ব্যাংকিং অনেক বিস্তৃত হয়ে যাচ্ছে। এটা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিধি-বিধানগুলোর মধ্যে ছিল না। সেজন্য পুরো পদ্ধতিগুলোকে আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই আইনের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং ও বিকাশ-নগদের মতো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেনও আইনি সুরক্ষা পাবে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031