Publish: Tuesday December 14, 2021 | 5:54 am  |  অনলাইন সংস্করণ

 dhepa 

আফগানিস্তানে ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে হতাহত নারী ও শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

সোমবার জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে জাতিসংঘ নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণনা শুরু করার পর থেকে যে কোনো বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় আফগানিস্তানে ২০২১ সালের প্রথমার্ধে বেশি নারী এবং শিশু হতাহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনের তথ্যাযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে যুদ্ধকবলিত আফগানিস্তানে সংঘাতে হতাহত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।

 

আফগানিস্তানবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ডেবোরাহ লিয়নস বলেন, ‘সাধারণ নাগরিকদের ওপর এই সংঘাতের মারাত্মক প্রভাবের দিকে তালেবান ও আফগান নেতাদের মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

এ বিবৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন একটি স্পষ্ট বার্তা। যদি সংঘাত দ্রুত শেষ না হয়, তবে বহু মানুষের প্রাণ যাবে।

আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তালেবান দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বহু স্থলবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য জেলা দখলে নিয়েছে। একই সঙ্গে বহু প্রাদেশিক রাজধানীতে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের পর থেকেই মূলত মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। কারণ এ সময় থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়।

 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ৬৫৯ জন নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২৫৪ জন, যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৪৬৮ শিশু নিহত হয়েছে, যা মোট সংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ। আর আহত হয়েছে ১ হাজার ২১৪ জন। নারী নিহত হয়েছেন ২১৯ জন, আহত হয়েছেন ৫০৮ জন। শুধু মে ও জুন মাসে নিহত হয়েছেন ৭৮৩ জন এবং আহত হয়েছেন এক হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে ৩৯ শতাংশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তালেবান, ৯ শতাংশ ইসলামিক স্টেট, ১৬ শতাংশ অজ্ঞাত, ২৩ শতাংশ সরকারি বাহিনী এবং ২ শতাংশ সরকারপন্থি সশস্ত্রগোষ্ঠী জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাকি ১১ শতাংশ নিহত হয়েছেন বন্দুকযুদ্ধে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৯৫ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার নেওয়ার মধ্যে বেড়েছে সংঘাতের তীব্রতা। একই সঙ্গে ৩১ আগস্ট সেখান থেকে শতভাগ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। সংঘাতের মধ্যেই আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে তালেবানের মানসিকতা। তারা দেশটিতে সমঝোতার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট ঘানিকে সরিয়ে সমঝোতার সরকারই পারে আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। কেননা তালেবান একচেটিয়া ক্ষমতা দখলের ফর্মুলা প্রয়োগ করতে চায় না।

 

লিয়নসেরও চাওয়া শান্তি আসুক আফগানিস্তানে।

জাতিসংঘের দূত ও আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান লিয়নস বলেন, দয়া করে দ্রুত সংঘাত বন্ধ করুন। আফগানিস্তানের নাগরিকদের রক্ষা করুন, তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের আশা দিন।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031