Publish: Wednesday December 15, 2021 | 6:02 am | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালের ওপরের ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজের ওপরে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন চলাচলকারী প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
চরপাতা ইউনিয়নের রায়পুর-বংশাল সংযোগস্থলে (রায়পুর-ফরিদগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা) ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালের ওপর মুরুলিরচর নামক স্থানে ১৯৯৭ সালে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত ব্রিজটি দুই মাস ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে।
মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে বলে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিধ্বস্ত ওই ব্রিজটির চলাচলের একদম অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সীমাহীন এ দুর্ভোগে পড়েছে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ ও একটি মাদ্রাসার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী। বিকল্প কোনো যাতায়াতের রাস্তা না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা।
সরেজমিন জানা যায়, ব্রিজের মাঝখানে (গর্ত) ভেঙে যাওয়াসহ এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন ছিল মোটরবাইক; সেটিও চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই মোটরসাইকেল পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন চালকরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় সেতুটি মেরামতের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক দিদার হোসেন দেলু বলেন, ‘৯০-এর দশকে নির্মিত এই সেতুটি নির্মাণ হলেও মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথাই নেই। মাঝেমধ্যে শুনা যায় টেন্ডার হয়েছে। তবে মেরামত কবে হবে জানা নেই।
চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুলতান মামুন রশিদ যুগান্তরকে বলেন, বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ইতোমধ্যে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে; অল্প সময়ের মধ্যেই টেন্ডার দেওয়া হবে।
রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ যুগান্তরকে বলেন, রায়পুর-ফরিদগঞ্জ দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালের ওপর ওই ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউএনও এবং প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করেছি। অচিরেই এ সমস্যা সমাধান করা হবে।
Array